থামাতে জানো না জানি তবুও থেমে যেতে চায় চোখ; কিংবা যেমনি জেগে ওঠে সাতরঙা ভোজনের স্মৃতি আর আজলার মায়া- ঝুলে পড়ে উষ্ণ আধখানা লোভ-লালা অলীক বেলায়। সমূহ আশার দানা বেঁধেছে ঘর গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে নয় রসায়ন বিক্রিয়ায়। তাই আমার জন্য কাঁদে জানালার পাশে একজোড়া চোখ আর আধভাঙা চাঁদের আচল, বড় বেশি অভিমানে তেতে ওঠো শিহরিত হও…ভুল করে ছুঁতে পারিনি প্রসূতরাত কিংবা জ্যোৎস্না মিলনের সমক্ষণ, বাঁশদানা বুননের দেশে এসে হারিয়েছি গতিপথ— সময়ের শুচিবাই রোগে আটকে গেছে জানালার কাচ আর আঙুলের ভাষা; তবুও বলি—
যদি কিছু স্মৃতি কবিতার পরতে নয় বিস্মৃতি হয়ে বারবার ফোটে
আমি এঁকে দেবো পূর্বকথন আর দ্বিধালিপি যত বৃষ্টির ঠোঁটে
অ.
মাগুরার পাড়ে দাঁড়ালে মনে পড়ে দূরন্ত
জোয়ারের বেলায় আমরাও মগ্ন হতে থাকি
গভীর স্রোতের টানে,স্মরণে আসে কেবল
বৃষ্টি আর প্রবহমান জলের কথা—
দৃশ্যাবলী যত গোপন ছিলো সন্ধ্যাকাশে
ব্যাহ্যিক নিয়মে কি করে জেনে ফেলেছে শীতের সকাল
জবান খুলে কিছু বলতে পারেনি তারা; নীরবে সয়েছে জ্বালা
আমি অনুভবে জেনেছি তাদের মিলনের গোপন স্পৃহা
আ.
কষ্টকে পরিপাটি করি স্বপ্নময় যৌবন ধরে
দুঃখ যতস্খলন ঘটে জলবায়ুর গুনে
আমি তারও আগে দাঁড়িয়েছি একা মাগুরার পাড়ে
নদীর জলে ঘাই মেরে গড়াগড়ি করে আইড়
বোয়াল; শিং-মাগুরের লেজে নাড়াচাড়া করে প্রাকৃতিক
লীলার ছলে… আমি তাদের কবিতা শোনাই—
নদী আমার কৈশোর-যৌবনের বোবা শ্রোতা; নীরব সহযাত্রী
ই.
আর এখন উষ্ণতা জেনে নয় শীতের বিকেল এলে
উষ্ণ রোদে শরীর পোড়াই একাকী পুরোনো স্মৃতিগুলো
ফিরে পাবো বলে— কিন্তু কামাতুর ঢেউয়ের সাথে কখন যে
লাবণ্য হারিয়েছে দু’পাড়ে স্থির থাকা সবটুকু জল
ভাবি ভাঙাগড়ার সাথে ছুটছে ধুলোময় স্বপ্ন আর ফ্যাকাসে সময়
হয়ত অগোছালো রয়ে যাবে জীবনের অবশিষ্ট স্বাদ
ঈ.
সময়ের স্নেহ বেয়ে কখনো চলিনি তাই সূর্য সেজে
ধার এনেছি বিনিদ্র রাত আর পুরোনো দিবসের স্মৃতি
অসংখ্য সন্তাপ
জন্মাবধি ছিল চাওয়া-পাওয়া আর দৃষ্টি-প্রভেদ
স্মরণে আসেনি কভু সাল-দিন-ক্ষণ রঙিন মায়া
এখন আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে বৃষ্টিস্মৃতি
আঁকা কৈশোরের জলজ্ঞান নদী
উ.
এরই মাঝে কেটে গেছে; ঘটে গেছে সৃষ্টির কত রূপলীলা আর দৃশ্য
পরিবর্তনের চাকা প্রাককথনে সে সব কথা ভাবতে গেলে মনে পড়ে
ল্যাবরেটরির কথা; জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনিচ্ছায় আমাকে ব্যবচ্ছেদ করতে হয়েছিল কুনোব্যাঙ আর রক্তজবা ফুল সে-বিষয়ে প্রাজ্ঞতা জানতে তুমি আজো রয়ে গেলে গোধূলি ছায়ায়; দূরের মায়ায়— আরো; আরো কিছু ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছি খুব গোপনে ব্যবচ্ছেদ হলে লিখা হবে বুকে জীবনের সংক্ষিপ্ত বয়ান
ঊ.
অনেক আগেই শুনেছি সহজনের কাছে কতই না পুঞ্জিভূত সুখের কেচ্ছা!
স্পর্শ পেলে আদ্রা আবেগে কীভাবে যেন লাজুক হয়ে যেত শামুকের ঠোঁট যেমনি রঙিন স্বপ্ন দেখে শিহরিত হয় যুবা রমণীরা; যৌবনের প্রথম প্রহরে অনিচ্ছায় হারিয়ে ফেলে রূপ-লাবণ্য সব চাওয়া-পাওয়া— কিছুই করার নেই ওদের জীবনের সব চাওয়া ভুলে গিয়ে জীবন সাজাতে চায় এখন শহরের নামীদামী গণিকা সেজে; কেউ-কেউ লিখছে গোপন ডায়েরি হয়ত ঠুকে রাখছে দুর্বিসহ স্মৃতি হয়ত গণিকানামা
ঋ.
তাই মোমের সামনে দাঁড়ালে মনে পড়ে সেইসব মুখ
সর্বগ্রাসী জ্বালা
তবুও আগুনের আঁচে খাঁটি হয় স্বর্ণালংকার শুধু খাঁটি
হয়নি তোর মনের কথা, যত আনাগোনা… রহস্য
জমাট বাঁধা সব পথ ধরে তাই বার-বার নিকটে এসেও
ছুঁতে পারিনি তোর বোবাঠোঁট— দূরে দাঁড়ালে হারিয়ে ফেলি
বড় আদরে ফুটে ওঠা জ্যোৎস্নার মায়া
এ.
অবশেষে রেখায় না দাঁড়িয়ে সরল
সরল পথটুকু খুঁজে পাওয়া গেলো
অভিপ্রায় যত ছিল বোতামের দৃশ্য দেখে
মুখটি আড়াল হয়ে গেলো
তাই সময়ের নিয়রে একা বসে থাকি
মৌনতা নিতে তাতেও নানা রকম জলের
যদিচ্ছাটুকু গিলে ফেলে দেখি বহুজাতক
স্বভাবের লিপি
ঐ.
রমণীর চঞ্চলতায় দেখি দ্বিধাটুকু খেয়ে
ফেলেছে খণ্ড-ত্রিখণ্ড দাঁতের ঝিলিক
এ রকম হয়ত শোনা যাবে— জানা যাবে
ইচ্ছের বিপরীতে কাদের সমুদ্র জল পানে
দ্বিমত ছিল; তার বাস্তবতা মিলাতে পারিনি আজো
তবুও গূঢ়লিপি পাঠে জন্ম নিয়েছে ক্রোধ
আর আমি ঢোঁকে-ঢোঁকে গিলে ফেলেছি
অবশিষ্ট সমুদ্রের লোনাজলটুকু
ও.
কিসের অপেক্ষায় আজও আগুনের আঁচে
শক্তপোক্ত কলমটিও বাঁকা হতে চায়?
যেমনি তৈলসিক্ত বাঁশটির আকরূপ ধরে
উপরে উঠতে চায় নির্বোধ বানর— তাই অনীহা
মেখে দৃষ্টিটুকু ফেলে যাও পথে আর আমি
সে পথ ধরে বার-বার শিখতে গেছি সরল সমাধান আর
পাটীগণিতের রীতি
ঔ.
এমন ব্রজবুলিতে ফলবান যারা— ব্যঞ্জনা খুঁজিনি
কভু জাদুমন্ত্র চোখে; কেননা যদি কখনো অনিচ্ছায়
ভেঙে পড়ে আমাদের প্রণয়ের স্মৃতি আর শামুকের লাজুক
জলঠোঁটের কথা; তাই বিনাশী জীবন নিয়ে ছায়াতে
বাঁধি ঘর স্বরলিপি জপে—
দ্বিধাটুকু তোমার কাছাকাছি রেখে; মেখে
যদি কিছু স্মৃতি কবিতার পরতে নয় বিস্মৃতি হয়ে বারবার ফোটে
আমি এঁকে দেবো পূর্বকথন আর দ্বিধালিপি যত বৃষ্টির ঠোঁটে
অ.
মাগুরার পাড়ে দাঁড়ালে মনে পড়ে দূরন্ত
জোয়ারের বেলায় আমরাও মগ্ন হতে থাকি
গভীর স্রোতের টানে,স্মরণে আসে কেবল
বৃষ্টি আর প্রবহমান জলের কথা—
দৃশ্যাবলী যত গোপন ছিলো সন্ধ্যাকাশে
ব্যাহ্যিক নিয়মে কি করে জেনে ফেলেছে শীতের সকাল
জবান খুলে কিছু বলতে পারেনি তারা; নীরবে সয়েছে জ্বালা
আমি অনুভবে জেনেছি তাদের মিলনের গোপন স্পৃহা
আ.
কষ্টকে পরিপাটি করি স্বপ্নময় যৌবন ধরে
দুঃখ যতস্খলন ঘটে জলবায়ুর গুনে
আমি তারও আগে দাঁড়িয়েছি একা মাগুরার পাড়ে
নদীর জলে ঘাই মেরে গড়াগড়ি করে আইড়
বোয়াল; শিং-মাগুরের লেজে নাড়াচাড়া করে প্রাকৃতিক
লীলার ছলে… আমি তাদের কবিতা শোনাই—
নদী আমার কৈশোর-যৌবনের বোবা শ্রোতা; নীরব সহযাত্রী
ই.
আর এখন উষ্ণতা জেনে নয় শীতের বিকেল এলে
উষ্ণ রোদে শরীর পোড়াই একাকী পুরোনো স্মৃতিগুলো
ফিরে পাবো বলে— কিন্তু কামাতুর ঢেউয়ের সাথে কখন যে
লাবণ্য হারিয়েছে দু’পাড়ে স্থির থাকা সবটুকু জল
ভাবি ভাঙাগড়ার সাথে ছুটছে ধুলোময় স্বপ্ন আর ফ্যাকাসে সময়
হয়ত অগোছালো রয়ে যাবে জীবনের অবশিষ্ট স্বাদ
ঈ.
সময়ের স্নেহ বেয়ে কখনো চলিনি তাই সূর্য সেজে
ধার এনেছি বিনিদ্র রাত আর পুরোনো দিবসের স্মৃতি
অসংখ্য সন্তাপ
জন্মাবধি ছিল চাওয়া-পাওয়া আর দৃষ্টি-প্রভেদ
স্মরণে আসেনি কভু সাল-দিন-ক্ষণ রঙিন মায়া
এখন আমাকে ভাবতে শিখিয়েছে বৃষ্টিস্মৃতি
আঁকা কৈশোরের জলজ্ঞান নদী
উ.
এরই মাঝে কেটে গেছে; ঘটে গেছে সৃষ্টির কত রূপলীলা আর দৃশ্য
পরিবর্তনের চাকা প্রাককথনে সে সব কথা ভাবতে গেলে মনে পড়ে
ল্যাবরেটরির কথা; জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনিচ্ছায় আমাকে ব্যবচ্ছেদ করতে হয়েছিল কুনোব্যাঙ আর রক্তজবা ফুল সে-বিষয়ে প্রাজ্ঞতা জানতে তুমি আজো রয়ে গেলে গোধূলি ছায়ায়; দূরের মায়ায়— আরো; আরো কিছু ব্যবচ্ছেদ করতে চেয়েছি খুব গোপনে ব্যবচ্ছেদ হলে লিখা হবে বুকে জীবনের সংক্ষিপ্ত বয়ান
ঊ.
অনেক আগেই শুনেছি সহজনের কাছে কতই না পুঞ্জিভূত সুখের কেচ্ছা!
স্পর্শ পেলে আদ্রা আবেগে কীভাবে যেন লাজুক হয়ে যেত শামুকের ঠোঁট যেমনি রঙিন স্বপ্ন দেখে শিহরিত হয় যুবা রমণীরা; যৌবনের প্রথম প্রহরে অনিচ্ছায় হারিয়ে ফেলে রূপ-লাবণ্য সব চাওয়া-পাওয়া— কিছুই করার নেই ওদের জীবনের সব চাওয়া ভুলে গিয়ে জীবন সাজাতে চায় এখন শহরের নামীদামী গণিকা সেজে; কেউ-কেউ লিখছে গোপন ডায়েরি হয়ত ঠুকে রাখছে দুর্বিসহ স্মৃতি হয়ত গণিকানামা
ঋ.
তাই মোমের সামনে দাঁড়ালে মনে পড়ে সেইসব মুখ
সর্বগ্রাসী জ্বালা
তবুও আগুনের আঁচে খাঁটি হয় স্বর্ণালংকার শুধু খাঁটি
হয়নি তোর মনের কথা, যত আনাগোনা… রহস্য
জমাট বাঁধা সব পথ ধরে তাই বার-বার নিকটে এসেও
ছুঁতে পারিনি তোর বোবাঠোঁট— দূরে দাঁড়ালে হারিয়ে ফেলি
বড় আদরে ফুটে ওঠা জ্যোৎস্নার মায়া
এ.
অবশেষে রেখায় না দাঁড়িয়ে সরল
সরল পথটুকু খুঁজে পাওয়া গেলো
অভিপ্রায় যত ছিল বোতামের দৃশ্য দেখে
মুখটি আড়াল হয়ে গেলো
তাই সময়ের নিয়রে একা বসে থাকি
মৌনতা নিতে তাতেও নানা রকম জলের
যদিচ্ছাটুকু গিলে ফেলে দেখি বহুজাতক
স্বভাবের লিপি
ঐ.
রমণীর চঞ্চলতায় দেখি দ্বিধাটুকু খেয়ে
ফেলেছে খণ্ড-ত্রিখণ্ড দাঁতের ঝিলিক
এ রকম হয়ত শোনা যাবে— জানা যাবে
ইচ্ছের বিপরীতে কাদের সমুদ্র জল পানে
দ্বিমত ছিল; তার বাস্তবতা মিলাতে পারিনি আজো
তবুও গূঢ়লিপি পাঠে জন্ম নিয়েছে ক্রোধ
আর আমি ঢোঁকে-ঢোঁকে গিলে ফেলেছি
অবশিষ্ট সমুদ্রের লোনাজলটুকু
ও.
কিসের অপেক্ষায় আজও আগুনের আঁচে
শক্তপোক্ত কলমটিও বাঁকা হতে চায়?
যেমনি তৈলসিক্ত বাঁশটির আকরূপ ধরে
উপরে উঠতে চায় নির্বোধ বানর— তাই অনীহা
মেখে দৃষ্টিটুকু ফেলে যাও পথে আর আমি
সে পথ ধরে বার-বার শিখতে গেছি সরল সমাধান আর
পাটীগণিতের রীতি
ঔ.
এমন ব্রজবুলিতে ফলবান যারা— ব্যঞ্জনা খুঁজিনি
কভু জাদুমন্ত্র চোখে; কেননা যদি কখনো অনিচ্ছায়
ভেঙে পড়ে আমাদের প্রণয়ের স্মৃতি আর শামুকের লাজুক
জলঠোঁটের কথা; তাই বিনাশী জীবন নিয়ে ছায়াতে
বাঁধি ঘর স্বরলিপি জপে—
দ্বিধাটুকু তোমার কাছাকাছি রেখে; মেখে
No comments:
Post a Comment